Thursday, January 1, 2015

Thankingly I ask


Really really thankful to you, O my dear Lord!
For all the favours you've kept me drowned in
Throughout the year that has just passed
Lovingly forgiving, O Subtle, our God!
Everytime obliviously I kept crossing the line
You were the one to turn me back on track.
Lost support, lost hope but you were never lost
To hear my call, to gift me things I never thought.
Flood our coming days with your love and mercy.
Keep the devils away from us, O Lord Almighty!
Pour upon us from the grail of all the patience.
Fill our hearts with humble benevolence.
Count us with those that have been your nearest.
Help us show the light to the lost and the diseased.

Jahid Akon
New Year's Day 2015
Oslo, Norway

Saturday, November 29, 2014

মধুচন্দ্রিমা

মধুচন্দ্রিমা
-জাহিদ আকোন

আজআকাশ ভরেছে পূর্ণিমায়।
পৃথিবী সেজেছে চন্দ্রিমায়।
গোলাপ-চাঁপারা হাতছানি দিয়ে
ডাকছে কী মৃদু ভঙ্গিমায়!
আরমনটা আমার মেতেছে রে আজ
সে চাঁদমুখের মধুরিমায়।
এইস্রোতস্বিনী নদীতে আজ কী ঢেউ জাগে!
ওইকাশফুলেদের পাড়ায় রে আজ কী সুর লাগে!
মৃদুমন্দ বাতাসরা বয়,
কানে কানে কী কথা কয়!
এই মধুক্ষণ তোমার কাছে আমার কাছে
ক্ষণে ক্ষণে কী আজ মাগে!
আজভুলব বিরহব্যথা।
পূরব মিলনগাথা।
আমিআকাশে বাতাসে রাষ্ট্রিব আজ
'ভালোবাসি ভালোবাসি' - এ কথা।


রাজশাহী
৭ নভে. ২০১৪

Sunday, November 23, 2014

অপেক্ষা

অপেক্ষা
-জাহিদ আকোন

অপেক্ষার কী তবে শেষ হল!
জীবনের এতটা পথ পাড়ি দিয়ে অবশেষে
অপেক্ষার যন্ত্রণা কী ছুটি নিল!

ছোটবেলায় যখন খালা-মামাদের বিয়ে দেখেছি,
ভেবেছি- মানুষ বিয়ে কেন করে!
মাকে জিজ্ঞেসও করেছি -
'কেন করে মা, মানুষ বিয়ে?'
জবাব এসেছে - 'এটাই নিয়ম, বাবা।
সবাইকে একদিন বিয়ে করতে হয়।'
উত্তরে ঠিক খুশি হতে পারিনি সেদিন,
কিন্তু অবাক হয়ে ভেবেছি -
'আমাকেও বিয়ে করতে হবে কোনোদিন!'
অবেচতন অপেক্ষার সেই হয়ত শুরু।

আজ যৌবনের ভরা জোয়ারে
সেই অপেক্ষা কী তবে ছাড়া পেল!

স্কুলের হাসি খেলার দিনগুলোতে
দেখেছি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া
পাড়াত-থানাত ভাইবোনেদের প্রেম।
কত যে টিপ্পনি কেটেছি তাদের বাঁধভাঙা প্রেম দেখে -
বন্ধু-বান্ধবে মিলে গুজব করেছি
কার সাথে কার প্রেম হল কার ভাঙল সেই সব নিয়ে।
কিছু তার গড়িয়েছে পরিণয়ে, কিছু ছাড়াছাড়ি।
তাদের হাসিতে হেসেছি, দুঃখে কেঁদেছি
আর মনে উঁকি দিয়েছে একটাই ভাবনা -
এদের মত আমারও কী একদিন প্রেম হবে!
সেই প্রেম থেকে বিয়ে!
অপেক্ষার সচেতনতার সেখানেই শুরু কিনা জানিনা।

দিন যায় মাস যায়, চলে আসে আগুনের দিন।
উচ্চশিক্ষা কেড়ে নেয় ছোটবেলার সেইসব
আনন্দমাখা বাবা-মার আদরভরা ছোট ছোট দিন।
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের কঠিন দিনগুলোতেও
দেখেছি কত শত প্রেম আর ভালবাসা।
ক্লাসের ছেলেতে-মেয়েতে প্রেম মানেই ছিল
দুজনের চরম ভাল অ্যাকাডেমিক ফলাফল!
বন্ধুদের ভালবাসার কত শত ঘটনা
সাক্ষী যে করে নিল এই আমাকে।
কিন্তু আমার অপেক্ষা বুঝি এইবারে কথা কয়ে ওঠে,
মনে হতে থাকে -  কবে আসবে সেদিন!
যেদিন আমি দেখা পাব তার
যার প্রেমে মিটে যাবে একাকী জীবন!

ভার্সিটি জীবনের হুহু করা বুক ফাটা
অপেক্ষার মরা ডালে তবে কী আজ ফুল ফুটল!

চাকুরি জীবনের শুরু হল।
সবাই একে একে ঢুকে গেল যার যার চাকুরিতে।
আর চারিদিকে শুরু হয়ে গেল বিয়ের মহাধুমধাম।
প্রত্যেক মাসে কতটা যে বিয়ের দাওয়াত পেতাম!
সবগুলোতেই গিয়েছি, মজা করেছি কত!
বিয়ের স্টেজে কত কত ছবি তুলেছি -
ফেসবুকে কত শত অ্যালবামের কুশীলব হয়েছি!
বাইরে আমার দেখেছে তো সবে আনন্দের অমলিন ধারা।
ভিতরে ঝরেছে অপেক্ষার খুন - দেখেনি তা তারা!
আজ যেন আমি তাই আনন্দে আত্মহারা -
অপেক্ষার খুনরাঙা পথ আজ ফুলে ফুলে ভরা।

তবে এটা সত্যি -
আজকালকার বাঁধভাঙা প্রেম আমি চাইনি।
আমি চেয়েছি একজন প্রেমময় জীবনসঙ্গী।
বছরের পর বছর টানা প্রেম করে যাওয়া
আমার কাম্য ছিল না -
আমি চেয়েছি এমন একজন মায়াবতী
যাকে আমি আপনার করে পাব
পূর্ণ অধিকারে -
সীমিত অধিকার আমি চাইনি কখনো।
আমি এমন একজনকে চেয়েছি
যাকে দেখলে হৃদয়ের সব প্রেম ফুল হয়ে ফোটে।
আমি এমন একজনকে চেয়েছি
যাকে দেখলে বিধাতার কথা মনে পড়ে।

তাই হয়ত আমার অপেক্ষার পালে
হাওয়া লাগেনি এতদিন
তোমাকে পাব বলে আপন করে
পূর্ণ অধিকারে।

অবশেষে -
বিধাতা আমার দিকে চোখ তুলে তাকাল।
আর আমার অপেক্ষার যুগ এভাবেই শেষ হল।

রাজশাহী
৫ নভে. ২০১৪

Wednesday, October 29, 2014

Antarctica মহাদেশের নাম Antarctica হবার কারণ কি?

উত্তর মেরুকে ইংরেজিতে বলা হয় arctic pole, শাব্দিক অর্থে ভল্লুকীয় মেরু বা আর্ক্ষিক বা ঋক্ষীয় মেরু। গ্রিক ভাষায় άρκτος, arktos মানে ভল্লুক। এই গ্রিক শব্দটির একই ইন্দো-ইউরোপীয় মূল থেকে এসেছে (cognates) সংস্কৃত শব্দ 'ঋক্ষ' এবং Latin শব্দ 'ursus', মানে ভল্লুক)।

উত্তর মেরুকে arctic pole বলার কারণ হল উত্তর মেরুর আকাশে বিশাল ভল্লুকটা (Great Bear, ঋক্ষেশ তারকামণ্ডল, Ursa Major) মাথার ঠিক ওপরে দেখা যায়। এই মহাগুরুত্বপূর্ণ তারকামণ্ডলের মাধ্যমে উত্তর গোলার্ধে খুব সহজেই অন্ধকার রাতের আকাশে ধ্রুবতারা (Pole Star) চিনে নিয়ে উত্তর দিক খুঁজে পাওয়া যায়। আমাদের ভারতবর্ষে এই তারকামন্ডলের খালি চোখে সবচেয়ে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান অংশকে বলে 'সপ্তর্ষিমণ্ডল' মানে সাত ঋষির তারকামন্ডল, ইংরেজিতে বলে The Big Dipper, মানে বড় চামচ।

চিত্র: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের পতাকায় সপ্তর্ষিমণ্ডল আর ধ্রুবতারা।

এখন ভৌগলিকভাবে উত্তর মেরুর বিপরীতে হল দক্ষিণ মেরু বা antarctic pole. গ্রিক αντι, anti মানে হল বিপরীত। তাহলে antarctic মানে হল ভল্লুকীয় বা আর্ক্ষিক মেরুর বিপরীত মেরু সম্পর্কিত; বৈয়ার্ক্ষিক। তাই দক্ষিণ মেরুতে অবস্থিত এই মহাদেশের নাম Antarctica! :)

উত্তর মেরুতে কোন মহাদেশ নেই, তাই Arctica বলে কোন মহাদেশ নেই, কিন্ত ওখানে আছে এক বিশাল মহাসাগর যাকে আমরা বলি Arctic Ocean বা উত্তর মহাসাগর; অথবা বলা যেতে পারে 'আর্ক্ষিক মহাসাগর'। আর Antarctica মহাদেশকে আমি বাংলায় (বা সংস্কৃতে) নাম দিতে চাই, 'বৈয়ার্ক্ষিক মহাদেশ বা বৈয়ার্ক্ষ' (বি-ঋক্ষ+অ) :P

Tuesday, August 26, 2014

Mettypukre মানে মিঠাপুকুর!

আমাদের রংপুর জেলার "মিঠাপুকুর"কে (আধুনিক রোমানীকরণ Mithapukur) লেখা হয়েছিল "Mettypukre" [IPA: ˈmɛtɪˌpʊkɚ] (মেটিপুকার) ১৭৭৬ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সারভেয়ার-জেনারেল জেমস রেনেলের (James Rennell) করা বাংলা-বিহারের মানচিত্রে।

ব্রিটিশরা আমাদের পূর্বপুরুষদের মুখে উচ্চারণ শুনে ইংরেজিতে তাদের মত করে বানান করত। যেমন ঢাকাকে লেখা হয়েছিল Dacca [ˈdækə] (ড্যাকা) , কলকাতাকে Calcutta [kəlˈkʌtə] (কালকাটা), রাজশাহীকে Raujeshy [ˈɹɔːd͡ʒəʃɑɪ] (রোজাশাই), ব্রহ্মপুত্রকে Burrampooter [ˌbʌɹəmˈpuːtɚ] (বারাম্পূটার), রংপুরকে Rungpour [ˌɹʌŋˈpɔː] (রাংপোর), মেদিনীপুরকে Midnapour [ˌmɪdnəˈpɔː] (মিডনাপোর) ইত্যাদি।

মিঠাপুকুরের কাছাকাছি এলাকার মধ্যে আরো আছে কাউনিয়া Cownyah, নবাবগঞ্জ Nabobgunge, লালবাগ Lolbeg, জোত দিলাল Judelell, রহমতপুর Rammatpour, কালিগঞ্জ Calleygunge, করতোয়া নদী Curtyah R., জালালগঞ্জ Jalalgunge. বড় দরগা-এর বানানটা সেই দরের - Burra Dirgah মনে হচ্ছে খাঁটি ইংরেজি শব্দ, উচ্চারণ [ˌbʌɹə ˈdɜːgə], অনেকটা [বারা ডার্গা] :D :P আরেকটা দেখলাম - লালমনিরহাটের পাটগ্রামকে লিখেছে Patgong [ˌpætˈgɑŋ] প্যাটগং, গাঁও বা গ্রাম বা গা-কে ব্রিটিশরা সব সময় -gong লিখেছে, যেমন চট্টগ্রাম বা চাটগাঁ Chittagong [ˌt͡ʃɪtəˈgɑŋ] চিটাগং,নওগাঁ Nowgong [ˌnaʊˈgɑŋ] নাউগং ।


এটা এতো আগের মানচিত্র যেখানে সিরাজগঞ্জ-টাঙ্গাইলের মাঝের আজকের বিশাল যমুনা নদীর অস্তিত্ব নেই (!), বরং আছে ময়মনসিংহের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বিশাল ব্রহ্মপুত্র নদ, যা ২০০ বছর আগে হারিয়ে গিয়ে আজকের যমুনা তৈরি হয়েছে। ভূতাত্ত্বিকরা বলেন প্রায় ২০০ বছর আগে কয়েকটা ভূমিকম্পের ফলে ব্রহ্মপুত্র নদ তার গতিপথ পরিবর্তন করেছে।


শুধু ব্রহ্মপুত্রই নয়, মানচিত্রটি ভাল করে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, উত্তরবঙ্গের তিস্তা নদীও তার গতিপথ পরিবর্তন করেছে। আগে এ নদীটি রংপুরের উত্তর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ব্রহ্মপুত্রে পড়ত না, বরং জলপাইগুড়ি হয়ে দিনাজপুর শহরের কাছে এসে পুনর্ভবা আর আত্রাইয়ে ভাগ হয়ে গঙ্গায় (পদ্মায়) পতিত হত। এটাও কি সেই ভূমিকম্পের ফল? হয়ত বা!

দেখুন সেই মানচিত্র।

চিত্র: ১৭৭৬ সালের জেমস রেনেলের মানচিত্রের একাংশে মিঠাপুকুর Mettypukre!