নোর্গের শীতে
- জাহিদ আকোন
উত্তরীয় মেরুর আঁধার আমার ঘরের পাশে,
শীতের দারুন কনকনানি হাড় ফুটিয়ে আসে।
ঘণ্টা মিনিট না পেরোতেই দিন ফুরিয়ে যায়,
আলোর রেখা এক নিমিষে দক্ষিণে হারায়।
সুজ্জি মামা দেখা না দেয়
ক' সপ্তাহই গেল রে হায়,
কে ভাঙ্গাবে রাগ!
দিগন্তের ঐ খুপড়ি থেকে
একটুখানি মুখ বাড়িয়ে
উঁকি দিতেও লাজ।
কী করে তার লজ্জা ভাঙাই, বলতে কি কেউ পারো?
তার বিরহে নোর্গে মামির দুচোখ ভরো ভরো!
সকাল সন্ধ্যা কেঁদে ভাসায় ফিউর-লেক আর নদী
রাত জেগেও ঝরায় চোখের জল সে নিরবধি।
মেরুর দেশে সে জল না পায় মাটির দেখা, হায়!
তুষার হয়ে আকাশ থেকে ঝরে ধরার গায়।
স্তরে স্তরে জমে তুষার বাড়ির ছাদে লনে,
বাচ্চারা তায় বল বানিয়ে ঢিল খেলে সব জনে।
আমি পথিক বিকেলবেলায়
বেরোই দুচোখ যেদিকে যায়,
হিমকণা গায় মাখি।
তুষারশুভ্র রাস্তা ধরে
স্কি পায়ে অন্ধকারে
আছাড় খেয়ে শিখি।
দেশ থেকে আজ বহুৎ দূরে সুমেরুর এই বুকে
দিন গেল, মাস-বছর গেল, আছি তো বেশ সুখে!
প্রভু, তোমার প্রশংসা তাই করি সকাল সাঁঝ!
এমনি করে ভাসিয়ে রেখো দয়ায় বারো মাস।
ফোর্নেবু, নরওয়ে
৩১.১.২০১৪
No comments:
Post a Comment